এস এম জাকির হোসেন: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১ ও ২ টাকার কয়েন অচল হয়ে পড়েছে। কোন দোকান পাটে এই কয়েন চালানো যাচ্ছেনা। দোকানদারদের কয়েন দিলে তারা তা ফেরত দিচ্ছে। এমনকি ভিক্ষুকরাও ভিক্ষা হিসেবে কয়েন নিচ্ছেনা। দোকানদাররা কয়েন নিতে যেমন অনিহা প্রকাশ করছে তেমনই তারা ক্রেতাদেরকে কয়েনের বদলে চকলেট দিয়ে দিচ্ছেন।
অপরদিকে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা মনে করছেন, দোকানিরা অতিরিক্ত ব্যাবসা করতেই টাকার বদলে চকলেট হাতে দড়িয়ে দিচ্ছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধ্যানে উপজেলার পৌর শহর, কীর্ত্তন খোলাসহ একাধিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কোন দোকানিই এই কয়েন নিচ্ছেন না। জানতে চাইলে কীর্ত্তন খোলা এলাকার দোকানি বলেন, ছোট কয়েন কাস্টমারকে দিলে তারা নেন না। তাই আমিও নেইনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন দোকানদার বলেন, সোনালি ব্যাংকে গেলে ২০ টাকা ও ১০ টাকার নোটই নেয় না আবার পয়সা, তাহলে আমরা এত কয়েন কোথায় দেবো? একজন ভ্যান চালক কাষ্টমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দোকানিরা যেহেতু কয়েনের বদলে চকলেট দিয়ে দেয় তাই আমাদেরও উচিৎ দোকানিদের টাকার বদলে চকলেট দেয়া। এছাড়াও সবাইকে এক সুরে আন্দোলন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, দোকানিরা অতিরিক্ত ব্যবসা এবং ভাংতির ঝামেলা এড়াতেই এই পন্থা অবলম্বন করছেন। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এলে আমরা অবশ্যই নিই। কেউ যদি নিতে না চায় ব্যাংক ম্যানেজার এর কাছে অভিযোগ জানান।
এ বিষয়ে সোনালি ব্যাংকের সখীপুর শাখার দায়িত্বে থাকা প্রিন্সিপাল অফিসার সাইফুল ইসলাম সাঈদ দৈনিক প্রথমকন্ঠকে বলেন, আমরা সব ধরনের কয়েন এবং ভাংতি টাকা নিচ্ছি। এবং আমাদের ব্যাংকে ১ টাকা, ২ টাকা ও পাঁচ টাকার কয়েন এর যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ রয়েছে। আমরা যদি কয়েন না নিতাম তবে এত কয়েন মজুদ থাকে কিভাবে? আমরা নিচ্ছি এবং দিচ্ছি। দোকানিদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।