প্রথমকণ্ঠ ডেস্ক: টানা ৪ বছর যুবলীগ নেতা অমিত রাজ ও এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক। সেটা গড়ায় বিয়ের বন্ধনে। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে কলহের জেরে স্ত্রীকে ডিভোর্সের (বিবাহ বিচ্ছেদ) পর দুধ দিয়ে গোসল করেছেন সেই যুবলীগ নেতা অমিত রাজ। তার এমন অভিনব কাণ্ডের ছবি-ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে। শনিবার (২১ আগস্ট) যুবলীগ নেতা অমিত রাজ নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অমিত রাজ উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক। তিনি ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, অমিত রাজ পার্শ্ববর্তী উপজেলার সখীপুরের হাতীবান্ধা ইউনিয়নের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রায় ৪ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকেই তাদের পরিণয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শুরু হয় কলহ। এর মধ্যে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এখন ওই সন্তানের বয়স প্রায় ৩ বছর। কলহের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় দুই পক্ষের অভিভাবকরা পড়েন চরম বিপাকে। প্রায় ৩ মাস আগে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান।
এ ঘটনায় ওই যুবলীগ নেতা অমিত রাজ মির্জাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর এ যুবলীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর নারী নির্যাতনের অভিযোগ দেন তার স্ত্রী। এ নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে।
শনিবার (২১ আগস্ট) ডিবি অফিসে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসেন। সালিশে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে অমিত রাজের স্ত্রী ডিভোর্স মেনে নেন। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়। এ যুবলীগ নেতা আদালতের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা স্ত্রীকে দিয়ে তার শিশু সন্তানকে নিজ বাড়িতে চলে আসেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে অমিত রাজ বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর আইনিসহ পারিবারিক ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়েছি। এ জন্য আমার দাদি দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে দিয়েছেন। পরে দাদি আমাকে ঘরে তুলে নেন। এখন আমি মুক্ত। এরপর আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও আপলোড দিয়েছে।’