মাসুমা জাহান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
একসময় দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠিতে গ্রাম বাংলার পুকুর ও ঝিল গুলোতে অপরুপ সৌন্দর্য যোগ করা পদ্মফুল এখন অনেকটাই হারানোর পথে।পদ্ম ফুলের নজরকাড়া সৌন্দর্যের জন্য একে আখ্যায়িত করা হয় জলজ ফুলের রানী হিসেবে।
পদ্ম ফুল কন্দের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে এবং ফুল মূলত শরৎ থেকে হেমন্তকাল অব্দি ফুটে থাকে। ভোর বেলা নরম আলোতে যখন এ ফুল ফোটে ভোরের স্নিগ্ধতা যেন আরও কয়েকগুন বেড়ে যায়। রোদ বাড়ার সাথে ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে যায় এ ফুল।
বাংলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা প্রাকৃতিক জিনিসগুলো অনেক সময় সৌন্দর্যের অবদানের পাশাপাশি মানুষের জিবীকাতেও অনেকটা অবদান রাখে। পদ্ম ফুল ও ঠিক তেমনই একটি ফুল। প্রাকৃতিক ভাবে পুকুর, ডোবা, ঝিলে ফুটে থাকা এই ফুলগুলো একটু পরিপুষ্ট হলেই গ্রামের সাধারণ মানুষ ফুলগুলো তুলে নিয়ে আসতো বিক্রি করতে। যেমন- আছে এই ফুলের অসাধারণ সৌন্দর্য তেমনি এর সাদা বাদামের মতো বীজ খেতেও বেশ সুস্বাদু। এছাড়াও পদ্মের ডাট ও তরকারি হিসেবে খাওয়া হতো অনেক স্থানেই।কিছু কিছু জায়গায় কলা পাতার মতো পদ্ম পাতায় খাওয়ার প্রচলন ও ছিলো। পদ্ম ফুলের কিন্তু ঔষধি গুণ ও আছে। পদ্ম ফুল থেকে মধু থেকে চোঁখের ওষুধ তৈরি করা হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীবীকার অন্যতম উপাদান পদ্ম ফুল আজ বিলুপ্তির পথে। মানুষের প্রয়োজনে পুকুর, ঝিল ভরাট পদ্ম ফুলের জন্মস্থানকে কেড়ে নিচ্ছে। এছাড়াও জলাধার দূষিত করাও পদ্ম ফুল বিলুপ্তির অন্যতম একটি প্রধান কারন। যখনই সভ্যতার উন্নয়ন ঘটে তখনই প্রকৃতির অবনতিও কিছুটা ঘটে থাকে।একই কারনে পদ্ম ফুল ও হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার জলাধার গুলো থেকে।