টাঙ্গাইলে সাবেক স্ত্রী সুমী ও তার শাশুড়িকে হত্যার পর আত্মহত্যা

টাঙ্গাইলে সাবেক স্ত্রী সুমী ও তার শাশুড়িকে হত্যার পর আত্মহত্যা

প্রথমকণ্ঠ ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সাবেক স্ত্রী ও তার শাশুড়িকে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শাহজালাল- তদন্ত ও পরিদর্শন শেষে এমনটিই দাবী করছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।

দুইটি লাশের পাশেই পড়েছিল শাহজালালের নিথর দেহ। গতকাল দেশ জুড়ে টাঙ্গাইলের ট্রিপল মার্ডারের বিষয়টি নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

টাঙ্গাইলের নবাগত পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আমরা রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। সাবেক স্ত্রী সুমি আক্তার ও তার শাশুড়ি জমেলা বেগমকে হত্যার পর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে সুমি ও শাহজালাল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রায় পাঁচ মাস তারা ঘর সংসার করে। এরপর সুমির বাবা জিন্নত আলী তাদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে সুমিকে বাড়িতে রেখে দেয়। ওই সময় সুমি অন্তঃসত্তা ছিল। পরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমির আগের স্বামী জয়নুদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে সুমিকে আবার তার কাছে ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর জয়নুদ্দিন আবার বিদেশে চলে যায়। সন্তান নষ্ট করায় সুমির সাবেক স্বামী শাহজালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ‘সুমির স্বামী জয়নুদ্দিন বাড়িতে না থাকায় মাঝে মধ্যেই শাহজালাল সুমির শশুরবাড়িতে আসতো। ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিলের চাবিও ছিল শাহজালালের কাছে। পরে গতরাতে শাহজালাল সুমির ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী সুমি ও সুমির শাশুড়িকে হত্যা করে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করে। এরপর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করে।’

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আলামত ঘেটে আমরা বিষয়টির রহস্য উৎঘাটন করতে পেরেছি। তারপরও ঘটনাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার একটি বসতঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম (৫৫) ও শাহজালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)।

সংবাদটি শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুন




All rights reserved © Jago Tangail
Design BY Code For Host, Inc