ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস থেকে। ৭৪ জনের মতো দগ্ধ হয়েছেন। নিহত ৪০ জনের মধ্যে ৩৩ জনের একদম পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
তিনি জানান, ওই লঞ্চে মোট কতজন যাত্রী ছিল এখনও সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে ৩০০শ বেশি যাত্রী ছিল ওই লঞ্চে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এই পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ৩৩জন ছিল একদম পোড়া। এছাড়া ৭৪ জনের মত দগ্ধ হয়েছেন, তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তিনি
আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা তদন্তে জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।
জানাগেছে, ফায়ার সার্ভিস লঞ্চের এ অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ভোর চারটার দিকে। দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌছে অনেককেই উদ্ধার করেছে। এছাড়া এর আগেই গ্রামবাসীরা সংবাদ পেয়ে এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। লঞ্চে থাকা অনেক যাত্রী দগ্ধ অবস্থায় সাঁতারে তীরে উঠেন।
এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে ইনস্টিটিউট প্রস্তুত আছে এবং ইনস্টিটিউট থেকে চারজন চিকিৎসককে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ(শেবাচিম) হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা রয়েছে।