নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির আরেক নাম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। তবে গেলো ঈদে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতেই ঘরমুখো হয়ে ছিলেন লোকজন। কিন্তু ঈদুল আযহায় ঢাকামুখী কোরবানির পশু বাহী যানবাহনের চাপ বাড়লে যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কের ২ লেনকেই পথের কাঁটা হিসেবে দেখছেন তারা। গেলো ঈদের মতো এ ঈদেও যাতে মানুষজন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এ জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষ হওয়ায় ভোগাস্তি কিছুটা লাগব হয়েছে। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে এখনো ২ লেনে যানবাহন চলাচল করছে। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় গেলো ঈদে এ অংশে একমুখী যানচলাচলের কারনে লোকজন স্বস্তিতে বাড়ি গিয়ে ছিলেন উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ।
এবার ঈদে উত্তরাঞ্চলমুখী যাত্রীবাহী বাস ও ঢাকামুখী কোরবানি পশুবাহী যানবাহন ২ লেনেই চলাচল করবে। আর ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা লিংক রোড দিয়ে ২৬ কিলোমিটার ঘুরে। এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত ২ লেনের এ অংশে পশুবাহী যানবাহন ও উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বাড়লে বা হঠাৎ কোন যানবাহন বিকল হলে যানজটের শঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেলো ঈদের মতো মহাসড়কটিতে যানজট যাতে না হয় সে জন্য ৬২০ জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। দায়িত্ব পালন করবে ১০০ জন এপিবিএন সদস্য। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায় এ জন্য ৪টি রেকার থাকবে। সড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
মহাসড়কে চলাচল করা যাত্রীরা জানান, গত ঈদে পুলিশ মহাসড়কে নিরলস কাজ করেছেন। ফলে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরেছিলেন তারা। এবারও পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে স্বস্তিতে বাড়ি ফেরা সম্ভব হবে। চালকরা জানান, পুলিশের নির্দেশনা মেনে গাড়ি চালালে যানজটের সম্ভাবনা খুবই কম। ফিট নেসবিহীন ও লক্কর-ঝক্কর যানবাহন যাতে না চলাচল করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে। ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ঠিকভাবে আসতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত মূলত সমস্যার সৃষ্টি হয়।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গত ঈদের মতো এবারও যানজটমুক্ত ঈদ উপহার দেয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস সেতু পূর্ব পাড় গোলচক্কর থেকে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা দিয়ে যাতায়াত করবে। আর গরু বাহী যানবাহন ও উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করবে।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে ৬২০ জন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও ১০০ জন এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন যাতে দ্রæত সরিয়ে ফেলা যায় এ জন্য হাইওয়ে পুলিশ ও সেতু কর্তৃপক্ষের চারটি রেকার সবসময় প্রস্তুত থাকবে। সড়ক পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে সড়কের বিভিন্ন জায়গা মনিটরিং করা হবে। কোথাও কোন সমস্যা দেখলেই তাৎক্ষণিক তা সমাধান করা হবে